মো: জহিরুল ইসলাম : পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে : ঠাকুরগাঁও নিখোঁজ হওয়ার ২৬ দিন পরে মিলনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন নামে এক যুবক অপহরণ করেছিল একটি চক্র।
তবে মুক্তিপণের ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েও জীবিত মিলল না মিলন হোসেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী গতকাল ২০ মার্চ রাত তিনটার দিকে একটি পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিটবাজার এলাকার মোঃ মতিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ সিজান আলী সে এলাকার কথিত সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন গ্রেফতারকৃত আরেকজনের নাম মুরাদ তারা সবাই বন্ধু বলে জানা যায় ।
মিলন হোসেন (২৩) পীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা পানজাব আলীর ছেলে। তিনি দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র।
পুলিশের পক্ষ থেকে অনেকদিন ধরে কাজ করছিলাম কোন প্রুফ পাইনি, পরে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করে দুজন কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ওসি মামুনুর রশিদ বলেন তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে মিলনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা স্বীকার করেন যে তারা মিলনকে খুন করেছে এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সিজানের বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে অর্ধ গলিত মিলনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় এলাকার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক কলেজের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে মোবাইলফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায়। প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় তারা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরবর্তীতে চক্রটি ৫ লাখ টাকা দাবি করে, এরপর মুক্তিপণ বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিনদিন পর ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা। সবশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও মিলনকে জীবিত না পেয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছে মিলনের পরিবার। এলাকাবাসী জানায় মিলনের বাবা পানজাব আলী তার জায়গাজমি বিক্রি করে ২৫ লক্ষ টাকা যোগার করেছিলেন শুধুমাত্র ছেলেকে জীবিত পাবার আশায় কিন্তু তা আর হলোনা। পরিবারে যেন দুঃখের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। রীরিক ও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছে মিলনের পরিবার। এলাকাবাসী জানায় মিলনের বাবা পানজাব আলী তার জায়গাজমি বিক্রি করে ২৫ লক্ষ টাকা যোগার করেছিলেন শুধুমাত্র ছেলেকে জীবিত পাবার আশায় কিন্তু তা আর হলোনা। পরিবারে যেন দুঃখের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা মিলনের হত্যাকারীর খবর পেলে দুপুর ১২ টার দিকে সিজান আলীর ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
Leave a Reply