User-agent: Mediapartners-Google User-agent: Google-Display-Ads-Bot

মনোলোক : বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না—এমন কঠোর ও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে চীন। দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী উভয়েই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যেকোনো অযাচিত বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত রাখবে।
সম্প্রতি বেইজিংয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন,
“বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যদি কোনো দেশ অযথা নাক গলাতে আসে, চীন কঠোর প্রতিবাদ করবে এবং বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রাখে এবং সেই সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করলে চীন তা বিন্দুমাত্র সহ্য করবে না।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেন,
“বাংলাদেশ আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের প্রতি চীন সবসময় শ্রদ্ধাশীল। প্রয়োজনে আমরা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবো।”
বেইজিং আরও জানায়, দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, উন্নয়ন সহযোগিতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বয় আরও জোরদার করবে। বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI), বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও সম্পর্ক আরও গভীর করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে চীনের এই শক্ত বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে, এবং এই প্রেক্ষাপটে চীনের এমন অবস্থান দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ–চীন বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে দুই দেশের আস্থা ও সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply