User-agent: Mediapartners-Google User-agent: Google-Display-Ads-Bot

লালন: বিকৃত ব্যাখ্যার ঊর্ধ্বে, বিশ্বমানের মানবতাবাদী দার্শনিক
মহিউদ্দিন মাহতাব
যারা লালনকে শুধু ভুল ব্যাখ্যা বা একপাক্ষিক রেফারেন্সের ভিত্তিতে বিচার করেন, তারা প্রকৃতপক্ষে তার দর্শনের গভীরতা ধরতে পারেন না। লালনকে নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেছেন—বিশ্বমানের, খ্যাতিমান চিন্তক ও সাহিত্যিকরা—তাঁরা একবাক্যে বলেছেন যে লালন ছিলেন বাংলার অন্যতম বৃহৎ দার্শনিক, মানবতাবাদী ও আধ্যাত্মিক মনীষী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লালনকে বাংলা মরমিয়া ধারার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি বলেছেন এবং তাঁর গানকে “অতুলনীয় ও চিরন্তন মানবধর্মের গান” হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।
কাজী নজরুল ইসলাম লালনের দেহ–মন–আত্মার গভীর দর্শনকে বাংলার লোকআধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ উদাহরণ বলেছেন।
বিশ্বখ্যাত কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ বাংলাদেশে এসে লালনের গানের শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে বলেছেন, “Lalon’s songs are pure spiritual poetry.”
সুধীর চক্রবর্তী, এডওয়ার্ড ডিমক, রিচার্ড ঈটন, চার্লস ক্যাপওয়েল—এদের মতো আন্তর্জাতিক গবেষকরা লালনকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ও ভারতসহ বহু দেশে লালনের গান ও দর্শন নিয়ে গবেষণা হয়েছে, যেখানে তাঁকে “a universal humanist thinker” বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংক্ষেপে বলা যায়—যে ধরনের কুৎসা, বিকৃত ব্যাখ্যা বা বিচ্ছিন্ন উদ্ধৃতি দেখিয়ে লালনকে হেয় করা হয়, তা কোনো আন্তর্জাতিক গবেষণা-ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বদের মূল্যায়নই তার প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে।
Leave a Reply