User-agent: Mediapartners-Google User-agent: Google-Display-Ads-Bot

মনোলোক : বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম ভাসমান দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন । যা পারমাণবিক বিস্ফোরণ এবং সব ধরনের চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করতে সক্ষম হবে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থেকে যাবতীয় নাগরিক সুবিধা, সমস্ত কিছু থাকবে চীনের নির্মীয়মান এই ভাসমান দ্বীপে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ওজন হতে পারে ৭৮,০০০ টন। দ্বীপটি ৬–৯ মিটার উচ্চতার ঢেউ এবং ক্যাটাগরি ১৭ পর্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়েও অবিচল থাকবে।
এটি আসলে একটি অর্ধ-ডুবন্ত প্ল্যাটফর্ম। বিরাটাকার জাহাজ বললেও ভুল বলা হয় না। ভাসমান দ্বীপ একসঙ্গে ২৩৮ জন মানুষকে আশ্রয় দিতে সক্ষম হবে বলেই জানা গিয়েছে। একবারে এই দুই শতাধিক মানুষের চার মাসের রসদ মজুত থাকবে চলনযোগ্য এই ভাসমান দ্বীপে।

পরমাণু বিস্ফোরণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুইয়ের রক্ষাকবচ ‘নোয়ার নৌকো ‘ বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম ভাসমান দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
মানুষের তৈরি এই ভাসমান দ্বীপের দৈর্ঘ্য হবে ১৩৮ মিটার এবং প্রস্থ হবে ৮৫ মিটার। প্রধান ডেক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫ মিটার উঁচুতে থাকবে। এর ফলে দৈত্যাকার ঢেউ ঝাপট থেকে মুক্তি থাকবে সেটি। এর ফলে নিরাপদে থাকবেন এর বাসিন্দা বা যাত্রীরা।
দ্বীপটির জরুরি বিদ্যুৎ পরিষেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থা (ফোন, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট সংযোগ ইত্যাদি) এবং নেভিগেশন নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য থাকবে বিশেষ প্রযুক্তিকক্ষ, যা পারমাণবিক বিস্ফোরণের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
দ্বীপটির নির্মাণে ব্যবহৃত মেটেরিয়াল স্যান্ডউইচ প্যানেলগুলি বিপজ্জনক ধাক্কাকে সামলে নিতে সক্ষম হবে। সাংহাই জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াং দেকিংয়ের নেতৃত্বে গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি সব রকম আবহাওয়ায় অবিচল থাকবে, দীর্ঘমেয়াদি হবে, গভীর সমুদ্রের যাবতীয় বৈজ্ঞানিক সুবিধা নিতেও সক্ষম হবে।
সরকারিভাবে দ্বীপটিকে ‘ডিপ-সি অল-ওয়েদার রেসিডেন্ট ফ্লোটিং রিসার্চ ফ্যাসিলিটি’ নামে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। যদিও চীন এটিকে নাগরিক বৈজ্ঞানিক পরিকাঠামো হিসেবে বর্ণনা করেছে। এর নকশায় পারমাণবিক বিস্ফোরণ প্রতিরোধের সামরিক মানদণ্ড জিজেবি ১০৬০.১-১৯৯১ ব্যবহার করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আধুনিক ‘নোয়ার নৌকোর’ কাজ সম্পূর্ণ হবে ২০২৮ সালে।
চীনের ‘নোয়ার নৌকো’, প্রাকৃতিক প্রলয়, পরমাণুবিস্ফোরণ, দূষণ থেকে উষ্ণায়ন, উষ্ণায়নের জেরে প্রলয়ঙ্করী ঝড়, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে শত্রু দেশের পরমাণু অস্ত্রের হুঁশিয়ারি। এই দুইয়ের ‘রক্ষাকবচ’।
যা অবিচল থাকবে যাবতীয় নাগরিক সুবিধা সহ এই ভাসমান দ্বীপে।
Leave a Reply